আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। পর্যটন ও প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৫জন। সর্ব শেষ গেল বুধবার কুলাউড়া উপজেলার একজন করোনাক্রান্ত হন। ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের ছোঁয়ায় পর্যায়ক্রমে সবাই আক্রান্ত হয়েছেন এমনটা জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। জেলায় মোট লকডাউনকৃত বাসা-বাড়ি রয়েছে ৫০টির উপরে। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে এ পর্যন্ত ১৪০০-এর বেশি মহিলা/পুরুষ বের হয়েছেন। মোট হোম কোয়ারেন্টইনে ছিলেন ২হাজার এর কাছাকাছি। এ খবর গত ৮মে তারিখের।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদ আহমদ শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে জানান, জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজন ব্যক্তিরও রিপোর্ট পজেটিভ আসেনি। তিনি বলেন, লকডাউন অমান্য করে বাহিরের জেলার ব্যক্তিগণ মৌলভীবাজার ঢুকে পড়ায় তাদের মাধ্যমেই সবাই আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজার জেলায় কেউ আক্রান্ত হননি। গত ৩/৪দিনে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল সুপার ডাঃ পার্থ সারথী দত্ত কাননগো, চিকিৎসক ও নার্সসহ মোট ৬জন করোনাক্রান্ত হন। হাসপাতাল থেকে যাতে নতুন করে ভাইরাস না ছড়াতে পারে সেজন্য গেল বুধবার থেকে আপাতত চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছে।
এর আগে এ শহরে ৩ চিকিৎসক ২ নার্সসহ আরো ৮জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছিল। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছিল, মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, মেডিসিন কনসালটেন্ট, গাইনী কনসালটেন্ট, নার্সিং সুপারবাইজার করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯)এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ প্রতিবেদন পাওয়া যায় গেল মঙ্গলবার। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠালে মৌলভীবাজারের ৮ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়।
এদিকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কাননগো চলতি মাসেই করোনায় আক্রান্ত হলেও পরবর্তীতে গত ৫মে রাতে আসা রিপোর্টে তার শরীরে কেভিড-১৯ নেগেটিভ ধরা পড়ে। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদ আহমদ জানান, কেভিড ১৯ নিয়ে মৌলভীবাজারে মারা গেছেন ২জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সর্বশেষ গতকাল ৯মে সাংবাদিক পান্নাদত্ত জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখাসহ ‘লকডাউন’ নিয়ম ভঙ্গ করার অপরাধ দমনে গত ৯মে জেলার বিভিন্ন স্থানে দু’টি অভিযানে মোট ৮টি মামলায় ৬হাজার ২শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জেলার জুড়ি ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে এ জরিমানাদণ্ড দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১মে থেকে শুরু করে ৯মে পর্যন্ত গোটা সপ্তাহে সারা জেলা থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সর্বমোট ১,৯৭,৬০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলার এমআরএ সনদপ্রাপ্ত এনজিও “উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা(উসস)” করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সংস্থার সদস্য ও দুঃস্থ ৫০০(পাঁচশত) পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্পটে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ৭ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ ও ১ পিস সাবান দেয়া হয়।
সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সশরীরে উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ কার্য পরিচালনা করেন। ত্রাণ কার্যে যারা অংশ গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জনাব রামভজন কৈরী, সংস্থার অর্থ সম্পাদক মৌলানা আব্দুল হেকিম, কর্মসূচী সমন্বয়কারী জনাব শওকত হোসেন সরদার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, এড: শাহ আখলাকুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক, উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা(উসস) স্বাক্ষরিত
মামুনূর রশীদ মহসিন।। আজ ২৩ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ৮ নং কনকপুর ইউনিয়নের দুবাই ফানসিটি’র সন্মূখে বেলা ২ ঘটিকায় হোসনেআরা(৪৫) নামে ৫ সন্তানের এক মহিলাকে ঢাকা- মেট্রো-ট ২০-৯৫৪২ নং একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়। জানাযায় হোসনেআরা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলার বাঁশঘর গ্রামের নফল মিয়ার স্ত্রী ৫ কন্যা সন্তানের মা। বাবার বাড়ী বেরাতে এসে বোনকে সাথে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়েছে। মৌলভীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।