৩শত টাকা দৈনিক মজুরীর দাবীতে চা শ্রমিকের আন্দোলনের আজ ১৭তম দিন অতিবাহিত হলেও সমাধানের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে এই ১৭ দিনে বিভিন্ন ভাবে শ্রম অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে তিন দফা বৈঠক হওয়ায় পরও কোন সমাধান হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২ইং দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা মিছিল করে মৌলভীবাজার শহরের গুরুত্বপু পয়েন্ট ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক সড়ক, বেরিরপাড় ও চৌমুহনা কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে রাখে। এতে দু’পাশে শত শত যানবাহণ আটকা পড়ে এবং যানবাহনে, নারী, শিশু, রোগীসহ হাজার মানুষ দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে পুলিশ এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে স্থান ত্যাগ করায়। এদিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক), শ্রীমঙ্গল এর সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, ‘৩শ টাকা দাবীর প্রতি তিনি পুর্ণ সমর্থন করেন, চা-শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার যে আন্দোলন তিনি পুর্ণ সমর্থন করেন। তিনি আরো জানান, কোন সুবিধাবাদী যেন তাদের ভুল না বুঝায় এবং বিপথে না নেয় সে ব্যাপারে সর্তক থাকার আহবাণ জানান’। উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দূর্গাপুজার আগে নতুন মজুরি ঘোষনা করবেন। তার আগ পর্যন্ত চলমান ১২০ টাকা মজুরী রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের। সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনসহ ৫ দফা যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছিলেন। |