মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব আর মারধরের ঘটনায় মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট সিএনজি ষ্ট্যান্ড ও রাজনগর সিএনজি ষ্ট্যান্ড শ্রমিকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া উত্তেজনায় ওই রুটে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে গত ৫ দিন ধরে। এতে সাধারণ যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। খেয়াঘাটবাজার ও রাজনগর থেকে আসা মৌলভীবাজারগামী যাত্রী ও মৌলভীবাজার শহর থেকে রাজনগর-খেয়াঘাটবাজারগামী শত শত যাত্রী প্রতিদিন আতঙ্কে থাকেন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়।
রাজনগর অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজি-নং-১৯৯৮)এর সভাপতি জামাল মিয়া বুধবার, ২৯শে আগষ্ট সন্ধ্যায় বলেন, গত শনিবার বিকেলে তার স্ট্যান্ডের অটোরিক্সা চালক গুলশান মিয়া চাঁদনীঘাট স্ট্যান্ডের ম্যানেজারকে জানিয়ে চাঁদনীঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে রিজার্ভ কুলাউড়া যায়। পরবর্তীতে কুলাউড়া থেকে ফিরে আসার পর চাঁদনীঘাটে তাকে ধরে মারধর করে তালাবন্দি করে রাখা হয়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয় এবং মনফর মিয়া নামের তাদের আরো এক সিএনজি চালক আহত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রুটে এখনো সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন বিষয়টি নিরসনে বুধবার, ২৯শে আগষ্ট সন্ধ্যায় জেলা কমিটিসহ উভয় পক্ষ আলোচনায় বসার কথা হয়েছে।
এদিকে যাত্রীরা জানিয়েছেন, সড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী নেয়া এবং ষ্ট্যান্ডে রিজার্ভ গাড়ি নিতে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে গাড়ি চালকরা কার আগে কে ম্যানেজ করবে এটাই দু’পক্ষের দ্বন্দ্বের একমাত্র কারন। তবে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে অতি শীঘ্রই শ্রমিকদের এসব দ্বন্দ্ব নিরসন চান ওই রুটের স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা অটোরিক্সা-অটোটেম্পু, মিশুক, সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম বলেন, সামান্য বিষয়াদী নিয়ে দুই স্ট্যান্ডে ঝামেলা হয়েছে। বুধবার বৈঠকের তারিখ দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তিতে যাবে।