-মাহবুবল আলম হানিফ এমপি
স্বাধীনতার জন্য “হাজী শরীয়ত উল্লাহ, তিতুমীর, প্রীতিলতা সেন, বাঘা যতীন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুরা” অনেক সংগ্রাম করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বহু আন্দোলন সংগ্রামে, তীব্র আন্দোলনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মওলানা ভাসানী ৭০এর নির্বাচনের আগে “ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর” স্লোগান দিয়ে নির্বাচন বর্জন করলেও “বঙ্গবন্ধু” সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয় অর্জন করেছিলেন। রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু যে কত দক্ষ ছিলেন তা সাড়ে ৩ বছরে প্রমান হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে “জিয়াউর রহমান” ক্ষমতায় এসে জাতিকে বিভক্ত করেছিলেন। জিয়া রাজাকারকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে রাজনীতির সুযোগ দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্সের যৌথ আয়োজনে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে “বিজয়ের অগ্রযাত্রার ৫০ বছরে বাংলাদেশ” এই আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরে উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ‘‘মাহবুবুল আলম হানিফ’’ এমপি। হানিফ বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব নেতারা বলেছেন, এদেশে শেখ হাসিনার ক্ষমতার কোন বিকল্প নেই। “বেগম খালেদা জিয়ার” বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা হয়েছে। এই মামলা আওয়ামিলীগ দায়ের করেনি। এই মামলা যখন দায়ের হয় তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন বিএনপির অতি ঘনিষ্ঠ ব্যারিষ্টার “মঈনুল হোসেন”। আদালতের রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই বিএনপিকে বলছি, দয়ালু রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু বিএনপি বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করছে। জেলা প্রশাসক “মীর নাহিদ আহসানের” সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি “মোঃ কামাল হোসেন” এর স ালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয় যথাক্রমে (১) “আহমদ হোসেন (২) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য (মৌলভীবাজার-৩) নেছার আহমদ, সংরক্ষিত এমপি জহুরা আলাউদ্দিন, সাবেক স্থানীয় সাংসদ বেগম সায়রা মহসিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ জাকারিয়া , মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান”। সভা শেষে অতিথিদেরকে উপহার হিসেবে সম্মাননা ক্রেষ্ট এবং “খুঁজে পাই চেতনার বাতিঘর” নামক বই প্রদান করা হয়। সভার শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যান্ডদল “চিরকুট” সংগীত পরিবেশন করে।