1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শ্রীভূমি শ্রীমঙ্গলের কিছু সংবাদ - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

শ্রীভূমি শ্রীমঙ্গলের কিছু সংবাদ

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৮৫১ পড়া হয়েছে

পাঠিয়েছেন-
সৈয়দ ছায়েদ আহমদ

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রশাসন, দুপ্রক ও সনাক এর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন : দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসাথে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক দুনীতি বিরোধী উপলক্ষ্যে মানবনন্ধন,  শোভাযাত্রা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), শ্রীমঙ্গল এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসুচি বাস্তবায়ন হয়।সকালে উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শান্তিদুত পায়রা উড়ানো মধ্যে দিয়ে এ কর্মসুচির সুচনা হয়। পরে একটি শোভাযাত্রা শহরের কালী বাড়ী পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে এসে উপজেলা প্রাঙ্গলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, দুদক হবিগঞ্জ সমন্বণিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: এরশাদ মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত ও কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মজুল।

সনাক সদস্য শাহ আরিফ আলী নাসিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সনাক সভাপতি সৈয়দ নেসার আহমদ ও দুপ্রক সভাপতি ডা: হরিপদ রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার বর্ধন, মনাই উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল-আমিন স্বাধীন, শিক্ষার্থী সাতগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সোহাগ মিয়া এবং উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী চৈতী রায় প্রমুখ। পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সনাক সদস্য, দুপ্রক সদস্য, স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গলের সরকারি ও বেসরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানের সরকারী কর্মকর্তাগণ।

৬ ডিসেম্বর ছিল শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস

গণহত্যার নীরব স্বাক্ষী বধ্যভূমি পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়

গত ৬ ডিসেম্বর ছিল শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে লড়াকু মুক্তিযোদ্বারা মরণপন লড়াই করে হানাদার বাহিনীকে শ্রীমঙ্গল থেকে হটিয়ে শত্রুমুক্ত করেছিল। তবে এর আগে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা। এদিকে স্বাধীনতার যুদ্ধে নিরীহ নীরস্ত্র শ্রীমঙ্গলের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শত শত চা শ্রমিককেও হত্যা করে পাক বাহিনী। এসব হত্যা কান্ডের নীরব সাক্ষী শ্রীমঙ্গলের ৫ টি বধ্যভূমি ৪টি পড়ে আছে অযতœ আর অবহেলায়। ১টি আশাপাশ বিনোদনের কেন্দ্র হলেও মুল জায়গাটি এখনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এবং আরেকটির মধ্যে একটি স্তুম্ব তৈরী হয়। ফলে এ প্রজন্মের অনেকেই জানেনা এসব বধ্যভূমির সর্ম্পকে।
১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমনের মুখে শ্রীমঙ্গল শহর ছেড়ে পালিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। তবে এই মুক্তির স্বাদ নিতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে চা বাগান ঘেরা এই জনপদের মানুষকে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের পর তৎকালীন সংসদ সদস্য আলতাফুর রহমান, কমান্ডার মানিক চৌধুরী ও ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। ২৩ মার্চ শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সামনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার রক্তস্নাত পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর শহরের ভানুগাছ সড়ক দিয়ে আবারও পৌরসভা চত্বরে প্রবেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেন তারা।

এদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে সেদিন মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল এ অ লের নিরীহ চা শ্রমিকরা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক পর্যায়ে ৩০ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী নির্মম ভাবে গণহত্যা চালায় তাদের উপর। যুদ্ধের ব্যাংকার বানানোর কথা বলে শহর সংলগ্ন ভাড়াউড়া চা বাগানে প্রবেশ করে সেখানে এক সঙ্গে ৫৫ জন চা শ্রমিককে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে তাদের উপর গুলি চালায় পাক বাহিনী। সেদিন সম্মুখ যুদ্ধ করে মুক্তির স্বাদ নিয়ে আজও বেঁচে আছেন চা শ্রমিক মুক্তিযোদ্ধা পরাগ বাড়ই।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫টি বধ্যভূমির মধ্যে অন্যতম এই ভাড়াউড়া বধ্যভূমিতে ১৯৯৭ সালে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হলেও আজও পূর্ণতা পায়নি। কোন সীমানা প্রাচীর না থাকায় বধ্যভূমির যায়গা বেদখল হতে চলেছে। অপরদিকে সাধু বাবার বটতলী হিসাবে পরিচিত বধ্যভূমিটি সম্প্রতি সংস্কার করে ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামে গড়ে তোলা হলেও বধ্যভূমির কেন্দ্রবিন্দু সাধুবাবার বটতলী বিজিবি ক্যাম্পের ভেতরে থাকায় সেখানে বিশেষ দিবস গুলোতে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারেনা। অপরদিকে এর পাশে চা বাগানের ছড়ার উপর একটি দৃষ্টি নন্দন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে। মূলত এটি বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বধ্যভূমিটির যায়গা বেধখল হয়ে গেছে আরো আগেই। সেখানে নাম মাত্র একটি স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও সেটি এখন বাসা বাড়ীর দেয়ালের মাঝখানে। এলাকার অনেকেই জানেন না এটি মুত্তিযুদ্ধকালীন একটি গণকবর। একই দশা শহরের ওয়াপদা রেষ্ট হাউজ সংলগ্ন বধ্যভূমির। এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিটি রয়েছে সিন্ধুরখান ইউনিয়নে। এলাকাবাসী জানান, যুদ্ধের সময়ে সেখানে শত শত নিরীহ মানুষদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো এই বধ্যভ’মিতে। সেখানে আজও গড়ে উঠেনি কোন স্মৃতিস্তম্ভ।

শ্রীমঙ্গলে ১০ম বারের মতো বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক সরফরাজ আলী বাবুল

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হুগলিয়া হাজী মনছব উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে ১০ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, দৈনিক খোলাচিঠি পত্রিকার সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সদস্য সরফরাজ আলী বাবুল।

সাংবাদিক সরফরাজ আলী বাবুল

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার বর্ধনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিবাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষবৃন্দদের উপস্থিতিতে সবার সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। কমিটির নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন আনোয়ার হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন বুলবুল, শাহীন মিয়া মহালদার, মো: ফজলু হক বাবুল, পারভীন বেগম, অনিতা রানী দেবনাথ, পংকজ কান্তি ভট্টাচার্য্য, মৌসুমী দেবনাথ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুঁব খাঁনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার, অভিবাবক আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: মকবুল হোসেন, মো: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। নব নির্বাচিত সভাপতি সরফরাজ আলী বাবুল বলেন বিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

ভূমি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভূমি কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময়

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভূমি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) শ্রীমঙ্গলের উদ্যোগে এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগীতায় এসিল্যান্ডের অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মাহমুদুর রহমান মামুন এর সভাপতিত্বে ও টিআইবি এর এরিয়া ম্যানেজার পারভেজ কৈরী এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সভাপতি সৈয়দ নেসার আহমদ।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সনাক সহ-সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য, জলি পাল, সদস্য জহর তরফদার, শাহ আরিফ আলী নাসিম, স্বজন সদস্য সৈয়দ ছায়েদ আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইয়েস গ্রুপ শ্রীমঙ্গল।

মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিস উপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় যেসব বিষয়গুলো আসে তা হলো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ, তথ্য প্রদানের রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনা চালু, অবাধ তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা , ই-নামজারী সেবা নিতে সেবাগ্রহিতাদের সন্তুুষ্টি বিষয়ক, উপজেলা ভূমি অফিসের ওয়েব সাইট আপডেট করা, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দালালচক্র দুরীকরণে গৃহিত পদক্ষেপ, উপজেলা ভূমি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করতে গৃহিত পদক্ষেপ, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ, তথ্য প্রদানের রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনা, অভিযোগ বক্স স্থাপন, তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, সিটিজেন চার্টার ও তথ্য বোর্ড তৈরী সংক্রান্ত আলোচনা, জেন্ডার বান্ধব ভূমি সেবা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সহকারী কমিশনার এর সাথে খোলামেলা আলোচনা হয়।
ভূমি প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, মানুষ নিজে কাজ না করে অন্যের মাধ্যমে কাজ করাতে পছন্দ করে যে জন্য অনিয়মের স্বীকার হন। অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসে প্রয়োজনের চেয়ে যদি কেউ বেশি টাকা দাবী করে তাহলে আমার কাছে সরাসরি অভিযোগ করলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিব। তিনি বলেন আমাদের দালাল চক্র দুুরীকরনে অভিযান চলমান রয়েছে। ই-নামজারীর ফলে জনগণ এখন সহজে নিজের নামজারী নিজে করতে পারছেন। তিনি আরো বলেন. ভূমি বিষয়ক যেকোন অনিয়মের অভিযোগ তার কাছে লিখিত ভাবে জানানোর জন্য তিনি সনাককে অনুরোধ করেন।
সভায় সনাক সদস্যগণ ভূমি অফিসের কার্যক্রমের প্রসংশা করে বলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো সেবা পাওয়া যাচ্ছে। নতুন নতুন সৃশজনশীল লোক নিয়োগে কাজের গতিশীলতা বেড়েছে। বিশেষ করে ই-মিউটেশন শুরু হওয়ার পর সেবার ধরণ অকেকটাই পরিবর্তন হয়েছে এবং সেবাগ্রহিতাগণ ভালো সেবা পাচ্ছেন। এটি অব্যাহত রাখার সহকারী কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়।

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পর্যায়ে ৪৯তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পর্যায়ে ৪৯ তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন ইকবাল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক. উপজেলা আওয়ামীলীগের
সহ সভাপতি জিল্লুল আনাম চৌধুরী,শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পর্যায়ে ৪৯ তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীলিপ কুমার বর্ধন। প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একই স্থানে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
প্রতিযোগীতায় উপজেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় বলে জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে আমাদের করণীয় বিষয়ক খসড়া গবেষণা পত্র উপস্থাপন

শ্রীমঙ্গলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে আমাদের করণীয় বিষয়ক গবেষণা পত্র(খসড়া) উপস্থাপনা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল শহরের রর্বাট ক্লাইভ রোডে অবস্থিত সিআরসি সেন্টারের মিলনায়তনে এ গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন গবেষক ম্যাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এ হামিদ।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সাইয়্যিদ মুজীবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জাকিরুল হাসান, জেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের করণীয়
শ্রীমঙ্গলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে আমাদের করণীয় বিষয়ক খসড়া গবেষণা পত্র উপস্থাপন করছেন মেক বাংলাদেশের এস এ হামিদ। ছবি: মুক্তকথা

বৃষ্টিশ কাউন্সিলের ফ্লাটফরমস্ ফর ডায়লগ(পিফোরডি) প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের ১৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩মাস সময় নিয়ে এ গভেষণা প্রত্রটি তৈরী করেন এস এ হামিদ। তিনি জানান, গবেষণার সম্পর্কিত বিষয় হলো, নিরক্ষরতা দুর করে শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে প্রাথমিক শিক্ষা শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, মানবিক, নান্দনিক, আধ্যাত্মিক ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্ববোধ, বিজ্ঞানমনস্কতায় সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের দর্শনে উদ্ধুদ্ধ করা।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের করণীয় শ্রীমঙ্গলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে আমাদের করণীয় বিষয়ক খসড়া গবেষণা পত্র উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে।
ছবি: মুক্তকথা

তিনি আরো জানান, গবেষণা পদ্ধতিতে তিনি, চেকলিষ্ট প্রস্তুত করে ইউনিয়নের ১৪ টি বিদ্যালয়ে সরজমিন পরিদর্শনের সময় পর্যবেক্ষন এবং নতিপত্র চেকিং, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত এবং পারিপার্শিক অবস্থা, পরিবেশ, রেকর্ড চেকিং এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী সংক্রান্ত, শিক্ষক সংক্রান্ত নতিপত্রের সহজ লভ্যতা সরজমিন দেখে এবং ৩৪ টি প্রশ্ন করে নির্দিষ্ট চেকলিষ্ট ফরমে লিপিবদ্ধ করা হয়।
গবেষণায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের ফোকাস গ্রুপ, ডিসকাশন করে প্রায় ৩০ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সর্বমোট ৮৭ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১৫ জন, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১৪ জন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ১৪ জন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এমন শিশুর অভিভাবক ১৪ জন এবং অন্যান্য ৩০জন। অনুষ্ঠানে উপস্থি সুধীনজন এই গবেষণা প্রত তৈরী এবং উপস্থাপানার জন্য এস এ হামিদ কে ধন্যবাদ জানান, তবে কিছু ভূলক্রটি আলোচকদের আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে। এবং পরবর্তিতে শোধরানো আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক পরিক্রমার প্রধান সম্পাদক ইসমাইল মাহমুদ, একুশে টিভি জেলা প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্ত্তী, আলোকতি বাংলাদেশ এর জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, উত্তর বরুনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষখ অঞ্জন রায়, উত্তর ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যান দেব, বিরাইমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, দেওয়ান সামসুল আলম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা বেগম, বৃষ্টিশ কাউন্সিলের ডিভিশনাল কোÑঅডিনেট আলগীর মিয়া ও ডিষ্ট্রিক ফ্যাসিলেটর আকলিমা চৌধুরী প্রমুখ।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT