1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কি তাদের অসহায়ত্ব ছিল অবশ্যই জানতে হবে - মুক্তকথা
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

কি তাদের অসহায়ত্ব ছিল অবশ্যই জানতে হবে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭
  • ৮৭৫ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ

দেশের বারোটা বাজিয়ে পাউবো যেমন বাঁচার পথে হাটছেন ঠিক তেমনি এখন দুদকও দোষ ঢাকা দেয়ার কথা বলছেন বলেই মনে হয়।

সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চার চারজন কর্মকর্তা। অনলাইন সংবাদপত্রে ওই সরকারী কর্মকর্তাদের নামসহ তাদের স্বীকারোক্তির বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। তারা বলেছেন তাদের গাফিলতি ছিল, তারা ঠিকমতো মনিটর করেননি। পুরো বিষয়টায়ই অনিয়মের কথা তারা নিজমুখে স্বীকার করেছেন। 
অনলাইন সংবাদে তাদের যে নাম এসেছে তারা হলেন- পাউবোর মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খলিলুর রহমান। 
অনলাইন সংবাদে যোগ করা হয়েছে- হাওরে বাঁধ নির্মাণে যতটুকু কাজ করার দরকার ছিল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সেই কাজ করেননি। দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। সব শেষের এই কথাগুলো হতে পারে ওই কর্মকর্তাদের কথার আলোকে এসেছে। এও হতে পারে স্বীকারোক্তির কারণে কথাগুলো অনলাইনের নিজস্ব মন্তব্য। সেটি বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় এখন কি করতে হবে?
দুদক’কেও একটি বিষয় পরিস্কার করার প্রয়োজন আছে। দুদকের একজন উপপরিচালক বলেছেন এক বছর আগে গণমাধ্যমে আসে সুনামগঞ্জ হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের খবর। এ খবরকে অনুসরণ করে দুদক পানিউন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে কারণ জানানোর কথা লিখেছিলেন। একবছর পাউবো কোন প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এ নিয়ে একবছর দুদক কি করলেন(?) এও কি সকলের জানার বিষয় নয়! দেশের বারোটা বাজিয়ে পাউবো যেমন বাঁচার পথে হাটছেন ঠিক তেমনি এখন দুদকও দোষ ঢাকা দেয়ার কথা বলছেন। চারজনের স্বীকারোক্তি একটি সুযোগ করে দিয়েছে কি ঘটেছিল তা জানার এবঙ এর প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ করার।
সরকারী কর্মকর্তাদের এই স্বীকৃতির কয়েকটি রূপ থাকতে পারে।
একটি তারা অসহায় ছিলেন। তাই কিছু করতে পারেননি।
আরেকটি হতে পারে, তারা চরম অলস, অকর্মণ্য, নিজের সরকারী দায়ীত্বের বিষয়ে অশিক্ষিত এবং দূর্ণীতিবাজ।
আরেকটি হতে পারে তারা সরকারকে ভেতরে ভেতরে সমর্থন করেন না তাই সরকারের জন্য একটি সমস্যা তৈরী করলেন। তবে রাজনৈতিক প্ররোচনায় এমন অমানবিক কিছু করবেন সেটি বিশ্বাস করতে চাই না। তবে আইন ও বিধানকেতো সবদিকই দেখতে হবে।
এ কয়েকটি কারণের বাইরে অন্য কোন কারণ থাকলে থাকতেও পারে, সে দুদক দেখবেন। যদি তারা অসহায় ছিলেন ঠিক কথা হয় তা’হলে দেখার বিষয় কি তাদের সেই অসহায়তা! কেনো তারা অসহায় ছিলেন(?)। কেন্দ্রীয় কোন নেতা বা বড় আমলা কিংবা স্থানীয়ভাবে সরকারী দলের অসাধু লোকজনের ধমক-ধামক, অর্থের ভাগা-ভাগী, না-কি অন্য কোন হুমকি(?)
তারা নিজেরা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারী এবং তাদের অনৈতিক রাজনীতির সুবিধা দেয়ার জন্য তাদের হয়ে কর্মকর্তাবৃন্ধ এমন গাফিলতি করেছেন?
শেষেরটি, তারা নিজেরা অকর্মণ্য অসাধু তাই পারেননি! অসাধু অর্থ আত্মসাতের মধ্যেই দিন গোজরাণ করেছেন?
এসব কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি মামুলী কোন বিষয় নয় এবং অদেখায় মামুলি মামলার মত  মিলিয়ে যাবার বিষয়ও নয়। স্বীকারের পাশাপাশি নিশ্চয়ই তারা তাদের কারণগুলিও দুদকের কাছে স্পষ্ট করেছেন। আর না করে থাকলে তা অবশ্যই আদায় করা দুদকের দায়ীত্ব।
বান-ভাসিতে দেশের হাওরাঞ্চলের ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি, জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি নতুন কিছু নয়। বাঁধ নির্মাণে দুর্ণীতি সেতো প্রকাশ্যেই হয়। প্লাবনের পর ত্রাণ সামগ্রী সব সময়ই কম আসে। পোষায় না কোনকালেই। মানের দিক থেকে ত্রাণসামগ্রী সকল সময়ই নিম্নমানের থাকে। এর মাঝে রয়েছে প্রভাবশালীদের ভাগ-বাটোয়ারা। এগুলো আমাদের বাস্তবতা। এসমূহ বিষয়ে নজর দেয়ার এটিই সঠিক সময়।
এইসব কারণ খুঁজে বের করা কোনভাবেই লঙ্কাপাড়ির বিষয় নয়। আর যেখানে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন। এ অবস্থায় আমরাতো আশাই করতে পারি যে এমন একটি প্রলয় সৃষ্টিকারী মহাপ্লাবনের বিষয়ে কোন মহলই নীরবে বসে থাকবেন না। অচিরেই আমরা একটি গ্রহনযোগ্য বিহীত দেখতে পাবো!

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT