1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কোন ঐতিহাসিক কারণে মিজোরাম ভারতকে বিদায় বলে চীনকে স্বাগত জানায়? - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

কোন ঐতিহাসিক কারণে মিজোরাম ভারতকে বিদায় বলে চীনকে স্বাগত জানায়?

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯
  • ৭৫১ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ।। এ বছরের শুরু অর্থাৎ গেল জানুয়ারীতে কয়েকটি অনলাইনে চোখ বুলাতে গিয়ে দেখাগিয়েছিল, উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সবক’টি রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা বলে কথিত হিন্দুদের শরণার্থী আখ্যায়িত করে নাগরিকত্ব প্রদান কাজের বিরোধীতায় চলছে প্রতিবাদ। অন্যদিকে মিজোরামেও হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধীতা করা হচ্ছে। সব রাজ্যগুলোতেই যুক্তি দেখানো হচ্ছে যে বিপুল সংখ্যায় মানুষজন বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে চলে আসছে। এরা মূলতঃ ভারতীয় নয়।
অনুরূপ কথাবার্তার সূত্র ধরেই বিবিসি বাংলা, কলকাতায় লিখা হয়েছে,-“মিজোরাম রাজ্যে প্রতিবাদ হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে।” মিজোরামের রাজধানী আইজলে না-কি এরকমই একটা মিছিলে প্রায় হাজার তিরিশেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল, যেখানে প্রচুর সংখ্যায় দেখা গেছে একটা পোস্টার : ‘বাই বাই ইন্ডিয়া, হ্যালো চায়না’। কলকাতা বিবিসি বাংলা প্রশ্ন রেখেছেন এই বলে যে, ” তাহলে কি নাগরিকত্ব বিলের ইস্যুতে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চীনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছে মিজোরা?”
“মিজোরামের ভারতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের পূর্বপুরুষরা নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধীতার প্রশ্নই উঠেনা, আর চিনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াও অবাস্তব। তবে দিল্লির অভিভাবকরা যদি বারে বারে আপত্তি জানানো স্বত্বেও বিলটি পাশ করানোর দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে ছাত্র যুবকদের অভিমান তো হতেই পারে।” এমন ভাষায়ই কথা বলেছেন বিবিসি কলকাতার কাছে সেখানকার রাজনৈতিকভাবে অতি প্রভাবশালী এনজিও সংগঠন ‘ইয়াং মিজো এসোসিয়েশন’ প্রধান লালমাৎ সুয়ানা।
মিজোরা চীনাদের সাথে একেবারে মিশে যাবে কি-না সেটি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোন বিষয় নয়। তবে মিজোদের নিয়ে এসব কথা নতুন কিছু নয়। অতীতের সেই পাকিস্তানী আমলেও এসব কথা শুনেছিলাম। মিজোরা চীনাদের সাথে মিলেমিশে একটি কিছু করতে যাচ্ছে। সে অনুমান ৫০বছর আগের কথা বলছি। তখন এসব প্রচার করতো বেশী পাকিস্তানীরা। আর এখন সেই একই কথা প্রচার করেন ভারতীয়রা। বেশ-কম শুধু এতোটুকুই।  আজও মিজোরা চীনাদের সাথে যায়নি। তারা এখনও মিজো হয়েই আছে।
এই মিজো প্রধানের মতের  বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা কলকাতা আরো লিখেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা যে চাকমা স্বশাসিত পরিষদ রয়েছে, সেখানে না-কি বিপুল সংখ্যক চাকমা বাংলাদেশ থেকে মিজোরামে চলে এসেছেন। নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়ে গেলে এই ‘অবৈধ চাকমারাও’ ভারতের নাগরিক হয়ে যাবেন।  ওই মিজো নেতার আরো ভয়, ওই স্বশাসিত অঞ্চলে নিয়মিতই না-কি বাংলাদেশ থেকে চাকমাদের অনুপ্রবেশ ঘটে। ১৯৬১সালের জনগণনার হিসেবের কথা উল্লেখ করে ওই মিজো নেতা  বলেন,  বর্তমানে এক লক্ষ চাকমা রয়েছেন সেখানে। এই সংখ্যাটাতো আর শুধুমাত্র বংশবৃদ্ধির কারণে হতে পারে না! এদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে চলে আসা মানুষ- বলেন মিজো নেতা লালমাৎ সুয়ানা।
মিজোরামে বসবাসকারী চাকমারা শুধু নয়, রাজ্য সরকারের তরফেই বহুবার বলা হয়েছে যে সে রাজ্যে কোনও চাকমা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এসে বসবাস করছে না।  ‘অল ইন্ডিয়া চাকমা সোশ্যাল ফোরাম’এর সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চাকমার ভাষায়, “এটা আসলে মিজোদের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চাকমা বিরোধী নীতির অংশ। পুরো সরকারী কাঠামো আর মিজো এনজিও গুলির এটা একটা মিথ্যা প্রচার। চাকমাদের গ্রাম থেকে উৎখাত করা হচ্ছে, শিক্ষার অধিকার দেওয়া হয় না, আমাদের বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয় রাজধানী আইজলে। এরা আসলে চায় ১৯৭৩ সালে তৈরী হওয়া স্বশাসিত পরিষদটা যাতে ভেঙ্গে দেওয়া যায়।”
চাকমা সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে চাকমারা নয়, মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে মিজোদেরই স্বজাতি ‘চিন’ সম্প্রদায়ের মানুষ। নিজের সম্প্রদায়ের মানুষ বলে মিজোরা সেটা নিয়ে আপত্তি তুলছে না।
সেটা যে ঘটছে, বিবিসি’র কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন মিজো নেতা মি. লালমাৎ সুনায়ানাও। তবে তার মতে, সংখ্যায় সেই অনুপ্রবেশ কথিত চাকমা অনুপ্রবেশের তুলনায় নগণ্য। নগণ্য হোক আর বিপুল হোক সেটি ঘটছে এটাই ঠিক। এখানে অযথা বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসায় নোংড়া রাজনৈতিক স্বার্থ হয়তো হাসিল হবে কিন্তু বৃহত্তর আঞ্চলিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, এটিই আমাদের বলার বিষয়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT