কমলগঞ্জ থেকে প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।।
কালের বিবর্তনে পাল্টে গেছে সবকিছু। কমে আসছে এক সময়কার চিরচেনা নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ও। হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাঙালীর গ্রামীন উৎসব-ঐতিহ্য। এরপরও একটি প্রবাদ আছে “নদী হাওর আর ধান এই তিনে মৌলভীবাজারের প্রাণ”। আর সেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার একটি নদীকে কেন্দ্র করে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে পালিত হয়ে আসছে গ্রাম বাংলায় প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরা উৎসব। আর এই মাছ ধরা উৎসব জানিয়ে দিচ্ছে মাছে-ভাতে বাঙালির দেশে মাছেরা হারিয়ে যায়নি। হারায়নি এক সময়ের বহুল প্রচলিত মাছ ধরার উৎসবও।
![]() |
![]() |
![]() |
কেউ কেউ শখের বসে মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে নেমেছেন মাছ ধরতে। সকাল থেকে শুরু হয়েছিল তাদের এই মাছ ধরা। দল বেঁধে সারিবদ্ধ হয়ে পলো দিয়ে পুটি, টেংড়া, শৈল, ঘাগট ও বোয়াল মাছ ধরছেন। পলো দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য সবারই মন কাড়ে। নদীর স্বল্প পানিতে ৩০/৪০জনের একটি দল একদিকে জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর অপরপ্রান্ত থেকে ৪০/৫০জনের সারিবদ্ধ দল পলো ঝাঁপিয়ে মাছ ধরতে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন।
![]() |
এ ব্যাপারে আলাপকালে কমলগঞ্জের প্রবীন মাছ শিকারী মো. ইসমাইল মিয়া জানান, দিন দিনই পরিবেশ ও আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারনে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওরের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে পানি হ্রাস এবং অধিকাংশ জলাশয় ইজারা দেওয়ায় বাওয়া উৎসবে এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে। আভাব অনটন ক্রমশঃ গ্রাস করে ফেলছে চিরাচরিত এই গ্রামীণ উৎসবের অতীত ঐতিহ্যকে। তার মতে প্রাচীন এই উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে সর্বমহলের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।