1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিপ্লবী আন্দোলন ও সংগ্রামে মৌলভীবাজার ৩ - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

বিপ্লবী আন্দোলন ও সংগ্রামে মৌলভীবাজার ৩

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯
  • ৯০১ পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের অতীত খুঁজে বেরিয়েছি জীবনের বেশীরভাগ সময়।  এই খুঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অতীত কাহিনী লিখার আঁকর হিসেবে যা পেয়েছি তাই এখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে  তুলে ধরার ইচ্ছা আছে। তারই সূচনায় গত পর্বে যা লিখেছিলাম তারপর-

হারুনূর রশীদ।।

‘করবন্ধ আন্দোলন’ ও ভানুবিলের বিদ্রোহ

কে ছিলেন আলী আমজাদ খাঁ :

আমীরুল উমারা ইসমাইল খাঁ লোদী ছিলেন আলী আমজাদ খাঁ’য়ের পূর্বসূরী। আর এই দাবী নওয়াব আলী আমজাদ খাঁ নিজেই তার একমাত্র পুস্তিকায় করেছেন। এই পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলেন উইলকিন প্রেস থেকে ১৯১১সালে। পুস্তিকার তথ্যসূত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন মুর্শিদাবাদের নওয়াব বাহাদূরের পক্ষে একজন ফজল রুবি।
ইসমাইল খাঁ লোদী  আফগান বংশোদ্ভোত বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। বাংলার নবাব দাউদ শাহের তিনি আমীরুল ওমারা ছিলেন এবং ১৫৭৩ খৃষ্টাব্দে তার পক্ষে উড়িষ্যার শাসক নিয়োজিত হয়েছিলেন।
মোহিনী মোহন দাসগুপ্ত তার শ্রীহট্টের ইতিহাস পুস্তিকার দ্বিতীয় অধ্যায়ে খাঞ্জা খাঁ-এর বাবার নাম দিয়েছেন ছখি সালামত। তিনি লিখেছেন, “ছখি ছালামত এমন রাজপরিবারের একজন মহাত্মা।” এবং ছখি সালামতই দিল্লীর লোদী বংশীয় সম্রাট থেকে  প্রথম জায়গীর প্রাপ্ত হন বর্তমানের পৃথিমপাশায়। পরে এই মহাত্মা  ছখি সালামত “রাজনগরের রাজকন্যার রূপে মোহিত হইয়া তাহার পাণি গ্রহন করিলেন। তাঁহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র খাঞ্জা খাঁ কিছুকাল দক্ষতার সহিত জায়গীর শাসন করেন। খাঞ্জা খাঁ’র সুযোগ্য পুত্র সমসুদ্দীন ১৬২৪ খৃঃ হইতে ১৬৮২ খৃঃ পর্যন্ত মহাসুখে কাল যাপন করেন।”
মোহিনী মোহন দাসগুপ্ত আরো লিখেছেন-“সমসুদ্দীনের পুত্র মোহম্মদ রবি(ওরফে দানীশমন্দ খান) নবাব পুত্র দিগের শিক্ষক নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইনি সুপণ্ডিত বলিয়া মৌলবী উপাধী প্রাপ্ত হন।”
কিছু ইতিহাস পাওয়া যায়, সম্রাট আকবরের প্রথম সময়ে যখন সিপাহসালার ছিলেন মানসিং, এসময় পূর্ব, দক্ষিনবাংলা ও উড়িষ্যা মোগলদের হাত থেকে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়াই করে যাচ্ছিল দীর্ঘকালব্যাপী(ড. ব্লকম্যান এর অনুবাদ আকবর নামা পৃষ্ঠা ১৭৭)। এ সময় আফগানদের যুদ্ধ পরিত্যাগ করার জন্য বিশাল এলাকা জুড়ে জায়গীর দান করা হয়। ইসমাইল খা লোদী বা  খান জাহান খাঁ তাদেরই একজন ছিলেন।(অনুবাদ রিয়াজুল সালাতিন পৃষ্ঠা-১৮০)।
তিনি তখন থেকেই ত্রিপুরের পাহাড়ী এলাকায় নিজের নিরাপদ আবাস বানিয়ে থাকতেন(ড. ব্লকম্যান এর অনুবাদ আইন ই আকবরী পৃষ্ঠা৫২০ এবং তুজাক ই জাহাঙ্গিরী পৃষ্ঠা ১০৪)। এর পর সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়  বাংলার ছোট ছোট অঞ্চল যখন উপরোল্লিখিত আমীর ও ওমারাগন শাসন করছিলেন সেসময় ১৬১২ খৃঃ বাংলার ইতিহাসখ্যাত ইসলাম খাঁ পূর্ববাংলা জয় করেন। ইসলাম খাঁ সে সময় এসব আমীর ওমরাহ্ দের এলাকা কেড়ে না নিয়ে তাদেরই অধীনে রাখার এক সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবস্থা করেন। ইসলাম খাঁ এ কারণেই বাংলায় আজো সুশাসক হিসেবে ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন। ইসলাম খাঁ’র এ ব্যবস্থার পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে যেসব আফগান  আমীর ওমরাহগন মোগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন তা প্রশমিত হয়ে আসে। এসব আমীর ওমরাহ শাসকবর্গ, বারভূঁইয়া ঈশাখাঁ’র বংশধর বলেই অনুমিত হয়।
উপরোল্লিখিত ইসমাইল খাঁ লোদীর পুত্র সামসুল দীন খাঁ যিনি ১৬২৪ খৃঃ থেকে ১৬৮২খৃঃ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তারই পুত্র মৌলভী মোহাম্মদ রবি দানিশমন্দ খাঁ’ আফগানিই হলেন প্রয়াত আলী আমজাদ খাঁ’য়ের পূর্বপুরুষ ও পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা। (চলবে)

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT