মৌলভীবাজার অফিস।। সকল জল্পনা-কল্পনার পর আগামী ১৪ মে শুরু হতে যাচ্ছে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রে চা নিলামের আনুষ্টানিক কার্যক্রম।
রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে টি প্লান্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর ব্যানারে নিলাম শুরুর বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব জহর তরফদার বলেন, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২য় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করে সিলেটের চা সিলেটেই নিলাম করার দাবিতে ৭০ বছর ধরে যে আন্দোলন চলে আসছিল এতে তার অবসান হবে। সেইসব দাবী ও আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ চা বোর্ড ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের যৌথ উদ্যোগে ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে ২য় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ‘টি প্ল্যান্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে সংগঠন গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশনের(টিও) শাখা লাইসেন্স পায়। সেই লাইসেন্সের প্রেক্ষিতে রেজিষ্টার অব জয়েনস্টক কোম্পানী এন্ড ফার্মস কর্তৃক লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ‘টি প্ল্যান্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখন থেকে উৎপাদিত চা পাতা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নিলামে উঠানো যাবে। যেখানে আগে সময় লাগত তিনমাস। তাছাড়া এখানে নিলাম কেন্দ্র স্থাপনে যাতায়াত খরচ, সড়ক দূর্ঘটনা, সময় সাশ্রয়, মহাসড়কের যানজট নিরসন এবং দ্রুত সময়ে নিলামে উঠায় চা পাতার কোয়ালিটি ঠিক থাকাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ফাইভ স্টার মানের হোটেল ও আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় খরিদদারগনও এখানে আসতে আগ্রহী হবে। তাছাড়া এখানকার চা বাগান মালিকরা বিক্রিতে লাভবান হলে উৎপাদনেও তারা উৎসাহী হবেন।
তারা জানান প্রতি নিলামে ৫০-৫৫ হাজার কেজি চা বিক্রি হবে। যার বাজার মূল্য হবে ১৪-১৫ কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, চা নিলাম বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমান, সংগঠনের সদস্য ডা. এম এ আহাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, সৈয়দ মুনিম আহমদ রিমন, সুয়েদ আহমদ প্রমূখ।