লণ্ডন।। সন্দেহভাজনরা পলায়নের সময় গাড়ী থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিষপত্র ফেলে দিয়ে পালাবার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ গাড়ী নিয়ে ২০ মিনিট ধরে দৌড়ান দিয়ে অবশেষে ৩ দুষ্কৃতিকারীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। গত ১০ই আগষ্ট সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। গাড়ী নিয়ে পুলিশের ধাওয়ার সময় সন্দেহভাজন দুষ্কৃতিকারীরা ছুরি(মেসেটি)সহ অন্যান্য জিনিষপত্র রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। গত ১০ই আগষ্টের এ খবর প্রকাশ করেছে ‘কেমডেন নিউ জার্নাল’।
মেট্রোপলিটান পুলিশের অস্ত্রধারী বাহিনী ওই দিন অনুমান সাড়ে ১২টার সময় কেমডেন পার্ক রোডের গলির ক্লিফ ভিলাজ-এর কাছে একটি ভক্সওয়াগন গল্ফ গাড়ীকে পেছনে রেখে সামনে যাবার চেষ্টা করে। তখন ওই গাড়ীর চালক তার গাড়ীকে ঘুরিয়ে নিতে গিয়ে পেছনের দিকে যায় এবং পুলিশের গাড়ীকে জোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যাবার চেষ্টা করে। পুলিশ সাথে সাথে গাড়ীর পিছু নেয়। এসময় দুষ্কৃতিকারী চালক বেশ কয়েকটি ‘লালবাতি’ আইন ভঙ্গকরে এবং একটি একমুখী রাস্তার বেআইনী উল্টো দিকে যেতে শুরু করে।
পুলিশ বলেছে, ধাওয়ার সময় দুষ্কৃতিকারীরা তাদের গাড়ী থেকে একখানা লম্বা ছুরি(মেসেটি)সহ বেশ কিছু জিনিষপত্র বাইরে ফেলে দেয়। পুলিশ পরে এ ছুরিখানা আটক করেছে। পুলিশের একটি হেলিকপ্টার অভিযানে শরিক হলে দুষ্কৃতিকারীরা ইজলিংটন এলাকার ‘মারছার রোডে’ গাড়ী থামাতে বাধ্য হয়। কিন্তু গাড়ী থেকে নেমেই ৬জন পালাতে শুরু করে। ফলে হেলিকপ্টারের সাথে কুকুর ও অস্ত্রধারী পুলিশ একসাথে দুষ্কৃতিকারীদের পেছন নিয়ে তাদের ৩জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ এখনও বাকী ৩জনকে খুঁজছে।
মেট পুলিশের অস্ত্রধারী ইউনিটের প্রধান বলেছেন এ ঘটনার সাথে জড়িত ওই ৬জনের গাড়ী চালনার নমুনা ছিল পুরোপুরি সাধারণ মানুষের এমনকি পুলিশেরও জান-মালের নিরাপত্তা বিরুধী। যেকোন মূহুর্তে তারা রাস্তায় চলাচলকারী মানুষদের নিয়ে ভয়াবহ একটি দূর্ঘটনার মুখে পড়তে পারতো। তিনি তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমি আমার সাথী কর্মীদের কাজে গর্ববোধ করি যারা এই দূষ্কৃতিকারীদের একটি অংশকে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
তারা চেষ্টা করেছিল দুষ্কর্মের সাক্ষী হাতিয়ার ফেলে দিয়ে তাদের অপকর্মের সাক্ষী মুছে ফেলতে। কিন্তু এ ঘটনা তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে বেআইনী অস্ত্র বহন কিংবা পুলিশ থেকে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব নয়। পুলিশ তাদের পিছু ছাড়বে না এবং ধরবেই।