1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আজ গেল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

আজ গেল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ১০০৯ পড়া হয়েছে

১৪ই ডিসেম্বর,
উনিশ ‘শ একাত্তর

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

    • আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম প্রাণপুরুষ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। জন্মভূমি ছেড়ে যাননি, ৮৫ বছরেও দেশকে, ভাষাকে ভালোবেসে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘আমার রক্তের ওপরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উড়বে।’ ২৯ মার্চ তাঁকে দ্বিতীয় পুত্রসহ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়ে এমন অত্যাচার করা হয় যে তাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে টয়লেটে যেতে হতো; সারা শরীরে ছিল বীভৎস অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সঠিক মৃত্যুতারিখ জানা যায়নি, তাঁর মরদেহও পাওয়া যায়নি।
    • গভীর দেশপ্রেমে নিবেদিত নূতনচন্দ্র সিংহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষকের শত আন্তরিক অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি রাউজান ত্যাগ করলেন না। সেই সুযোগটাই নেয় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নূতনচন্দ্র সিংহকে হত্যায় সে সরাসরি জড়িত। ৭০ বছরের বৃদ্ধকে পাকিস্তানি সৈন্যরা হত্যা না করে চলে গেলে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী সৈন্যদের পুনরায় ডেকে এনে হত্যা করায়। আজ সাধনা ঔষধালয়ের নাম জানেন না এমন লোক নেই বললেই চলে।
    • ৮৮ বছরের বৃদ্ধ সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা  যোগেশ চন্দ্র ঘোষ মাতৃভূমিকে ভালোবেসে দেশেই রয়ে গেলেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল স্বাধীনতাবিরোধীদের প্ররোচনায় গেন্ডারিয়ায় নিজ কার্যালয়ে পাকিস্তানি ঘাতকেরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষক আপন ভোলা দার্শনিক মানুষ ড. জিসি দেব কী অন্যায় করেছিলেন যে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগৃহ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে গিয়ে জগন্নাথ হলের মাঠে ছাত্রদের সঙ্গে গুলি করে মারল, সবার সঙ্গে মাটিচাপা দিল?
    • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ওখানে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক— হবিবর রহমান,  সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও  মীর আবদুল কাইয়ুমকে যে হত্যা করা হলো, তার মধ্যে আবদুল কাইয়ুমের মৃত্যুদৃশ্যটি তো কল্পনাতেই আনা যায় না। তাঁকে পদ্মা নদীর তীরে গর্ত খুঁড়ে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। জানা যায়, রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন এর প্রত্যক্ষ প্ররোচনা ছিল। তাঁর প্ররোচনা বা ভূমিকার কিছুটা পরিচয় দেওয়া যাক। ড. সাজ্জাদেরই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ ছাত্র, ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা  নাজিম মাহমুদ ওই বিপদের দিনে শিক্ষকের কাছে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার বিষয়ে পরামর্শ চাইতে গেলে ড. হোসায়েন নানা কথার পর বললেন: ‘দ্যাখো, আমি সবাইকে যে কথা বলি, ড. কাদেরকে সেদিন যে কথা বলেছি, তোমাকেও তাই বলি—ওরা যদি তোমাকে গুলি করতে চায়, তাহলে ঠিক কপালের মাঝখানে গুলি করতে বলো, Painless death, absolutelty Painless’ (যখন ক্রীতদাস: স্মৃতি ৭১—নাজিম মাহমুদ, মুক্তধারা, পৃষ্ঠা ৫৫, দ্বিতীয় প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩)।
      এই ড. হোসায়েনই মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে এসে কিছু শিক্ষককে হত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন, তালিকা দিয়েছিলেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে জেনেছি, হত্যার উদ্দেশ্যে তিনিসহ আরও কিছু শিক্ষককে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে গেলে ড. ইসলাম আর্মিদের অনেক অনুরোধ করে মধ্যরাতেই ভিসি ড. হোসায়েনকে ফোন করেছিলেন। ড. ইসলাম কাকে কাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে বলা শেষ করতেই ড. হোসায়েন প্রবল আগ্রহে জানতে চাইলেন, ‘আর কাকে নিয়েছে?’ অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের স্পষ্ট ধারণা হয়, ড. হোসায়েনের দেওয়া তালিকা অনুসারে সবাইকে নিয়েছে কি না সেটা জানতেই তিনি আগ্রহী ছিলেন। ড. হোসায়েন দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পালিয়ে সৌদি আরব চলে গিয়েছিলেন। ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর।
    • বুদ্ধিজীবী দের হত্যার ধরন শুনলে নিজের কানকেই অবিশ্বাস করতে ইচ্ছা হবে। যশোরের আইনজীবী  মশিউর রহমানকে এতটাই অত্যাচার করা হয় যে তাঁর চেহারা বীভৎসভাবে বিকৃত হয়ে যায়, তাঁকে তাঁর অতি আপনজনই চিনতে পারেননি।
    • কী দোষ করেছিলেন কবি মেহেরুন্নেসা? ঢাকার মিরপুরে, তাঁর মাথাটা কেটে তাঁরই লম্বা চুল দিয়ে ফ্যানের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
      ঠাকুরগাঁও এ বহু বুদ্ধিজীবীকে জীবন্ত অবস্থায় বাঘের খাঁচায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
    • মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের অদূরে জল্লাদখানা নামক বধ্যভূমিতে বাঙালি জবাই করে করে একটা কুয়োয় ফেলে দেওয়া হতো, ওখানেই ইত্তেফাক-এর সাংবাদিক আবু তালেবকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
    • মাগুরায় লুৎফুননাহার হেলেন নামে এক স্কুল শিক্ষয়িত্রীকে জিপের পেছনে বেঁধে সারা শহর ঘুরিয়ে বোঝানো হয়েছিল স্বাধীনতা চাওয়ার ফল কী।
      সৈয়দপুরে ডা. শামশাদ আলী নামে একজন চিকিৎসককে ট্রেনের জ্বলন্ত কয়লার ইঞ্জিনের মধ্যে ছুড়ে ফেলে হত্যা করা হলো। সে সময় সৈয়দপুর ছাড়াও পার্বতীপুর, পাকশী, ঈশ্বরদী, পাহাড়তলী ইত্যাদি বড় রেলওয়ে জংশনে ইঞ্জিন জ্বালিয়েই রাখা হতো, কেবল ভেতরে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অপেক্ষায়।
    • আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ জীবিতকালে বলেছিল, দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। শেষে ফাঁসির দড়িতে দেখল সে নিজেই যুদ্ধাপরাধী এবং সাকা চৌধুরী হুংকার ছেড়ে বলেছিল, ‘দাঁড়া, বেরোই আগে।’

    তথ্যসূত্র ও মূল লিখাঃ রশীদ হায়দার, কথাসা‌হি‌ত্যিক

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT