মুক্তকথা সংবাদ কক্ষ।। শাসনতন্ত্র পরিপন্থি বিধায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ব্যভিচার আইনকে নাকোচ করে দিয়েছে। বিচারপতি চন্দ্রচুদ তার রায়ে বলেছেন, পছন্দ প্রণিধানযোগ্য এবং যৌণতাকে কেটে কামনা থেকে আলাদা করা যাবে না।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বিধান দিয়েছেন এই বলে যে ব্যভিচার আইন এখন যেভাবে আছে তা শাসনতন্ত্র পরিপন্থি। এটি একটি ১৫০ বছরের পুরনো আইন যা একজন স্বামীকে ক্ষমতা দেয় স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ন্যাশনেল হেরাল্ড এ খবর প্রকাশ করে।
গত বৃহস্পতিবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বিধান দিয়ে বলেন যে, ব্যভিচার আইন অশাসনতান্ত্রিক। এটি ১৫০ বছরের পুরানো একটি বিধান যা কি-না স্ত্রীর প্রেমিকাকে আইনের আওতায় আনার কথা বলে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি দিপক মিশ্র, বিচারপতি রোহিনতন নারিম্যান, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচুদ এবং ইন্দু মালহোত্রা সর্বসম্মতভাবে ভারতীয় পেনালকোডের ৪৯৭ ধারা বাতিল করে দেন। বিচারকদের সর্বোচ্চ বেঞ্চ চারটি ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু সহমতপূর্ণ অনুষঙ্গী রায় লিখেন। প্রধান বিচারপতি মিশ্র নিজের মত লিখেন এবং বিচারপতি খানউইলকর এর পক্ষে লিখেন। বিচারপতি নারিম্যান, চন্দ্রচুদ ও মালহুত্রা তার প্রত্যেকেই একটি করে রায় লিখেন।
ভারতীয় পেনালকোডের ৪৯৭ ধারা বলে-“যে কারো কোন একজনের সাথে যদি যৌণকাজ হয়ে থাকে এবং সেই লোককে যদি তিনি চেনেন কিংবা অন্যকারো স্ত্রী হিসেবে জানেন, ওই মানুষের মত বা সহযোগীতা ছাড়া এমন যৌণ কাজকে ধর্ষণ বলে মেনে নেয়া যাবে না, এটি হবে ব্যভিচারের অপরাধে অপরাধী এবং শাস্তি হবে সশ্রম কারাদণ্ড উর্ধে ৫বছর, জরিমানাও হতে পারে আবার দু’টোও হতে পারে। এ রকম মামলায় স্ত্রীকে দুষ্কর্মী হিসেবে শাস্তি দেয়া যাবে না।
নারীদের ১০টি অধিকারের বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে গেছে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচুদের রায়। সূত্র: ন্যাশনেল হ্যারাল্ড