বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাংবাদিক, লেখক; আইনবিদ, সংগঠক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বহু আন্দোলনের সাহসী কন্ঠ মুক্তচিন্তার সামনের কাতারের মানুষ এডভোকেট আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত খান। গত শুক্রবার তিনি তার ঢাকার কাফরুলস্থ বাসায় ইন্তেকাল করেন(ইন্না..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪বছর। প্রয়াত আব্দুল মুকিত খান স্ত্রী, ২কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার পূর্ব-মুন্সীবাজারের মীর্জানগরে নিয়ে আজ ২৩মে সকাল ১১টায় জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়। তিনি শমশেরনগর কিশোর খেলাঘর, বিকিরণসহ বিভিন্ন সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন। নয়াযুগ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। ‘শানে নুযুল’ পত্রিকার তিনি ছিলেন সম্পাদক। তিনি ‘লাল কালির কবিতা’ খ্যাত প্রয়াত কবি আবু কায়সার খানের সহোদর।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. এমএ শহীদ এমপি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল কালচারেল ফোরাম, বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ।

এদিকে কাছাকাছি সময়েই মৌলভীবাজারের সাবেক সিভিল সার্জন ও বিএমএ’র সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক(ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল) ডাঃ এম. এ মতিন ২২মে রাত ৮টায় তাঁর সিলেট উপশহরস্থ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।(ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০বছর।

তিনি শমশেরনগরের মরহুম প্রধান শিক্ষক বশির আহমদের সহোদর। তাঁর এক ছেলে শরীফ ঢাকায় ব্যবসা করছেন, অপর ছেলে সাঈফ শাবিপ্রবির ইংরেজীর অধ্যাপক। একমাত্র মেয়ে রাবেয়া মুন্নী সিলেটে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ চাকরী জীবনে তিনি মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন বন্ধু বৎসল ভাল মনের মানুষ ছিলেন।

কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদ ডা. মতিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।