যুক্তরাষ্ট্র সফররত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ওয়াশিংটনের হোটেল রিজ কার্লটন টাইসন কর্ণারে গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর, সিটি, স্টেট থেকে আগত রাজনৈতিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট, বিয়ানীবাজারের যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল রহমান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি সকল নেতা কর্মীদের বিষয়ে অবগত আছেন। তিনি যার যার দায়িত্ব থেকে দল ও দেশের জন্য কাজ করার এবং দেশে-বিদেশে দলকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ-বিশ্ব ব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে বিশ্ব ব্যাংক সদর দফতরে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ওয়াশিংটন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদরদফতরে একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। এ চিত্র প্রদর্শনীটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব নিয়ে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যত বিনির্মাণে বিশ্ব ব্যাংককে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে অংশ গ্রহণ করেন।
এ মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাইরের চাপে বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে এসেছিল।
৫০ বছরে বাংলাদেশ-বিশ্ব ব্যাংক অংশীদারিত্বের প্রতিফলন’ শীর্ষক এ ‘প্লেনারি সেশনে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু যখন আমরা বানাতে যাই তখন আমাদের ওপর দুর্নীতির একটা মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। এটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমি বাবা-মা, সব হারিয়ে দুর্নীতি করতে আসিনি, নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি। আমি এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে।
প্রসঙ্গত, জাপানে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন।